2
যীশুই ত্যাগস্বীকারের চূড়ান্ত আদর্শ।
1 অতএব খ্রীষ্টে যদি কোনো উত্সাহ, যদি কোনো ভালবাসার সান্ত্বনা, যদি কোনো পবিত্র আত্মার সহভাগীতা, যদি কোনো দয়া ও করুণা হৃদয়ে থাকে, 2 তবে তোমরা আমার আনন্দ পূর্ণ কর একমন, এক ভালবাসা, এক প্রাণ, এক ভাববিশিষ্ট হও। 3 প্রতিযোগিতার কিংবা স্বার্থপরতার বশে কিছুই কর না, কিন্তু শান্তভাবে প্রত্যেক জন নিজের থেকে অন্যকে শ্রেষ্ঠ বলে মনে কর; 4 এবং প্রত্যেক জন নিজের বিষয়ে না, কিন্তু পরের বিষয়েও লক্ষ্য রাখ। 5 খ্রীষ্ট যীশুতে যে ভাব ছিল, তা তোমাদের মনের মধ্যেও হোক। 6 ঈশ্বরের স্বরূপবিশিষ্ট থাকতেও তিনি ঈশ্বরের সাথে সমান ইচ্ছা মনে করলেন না, 7 কিন্তু নিজেকে শূন্য করলেন, তিনি দাসের মত হলেন, মানুষের মত হয়ে জন্ম নিলেন; 8 এবং তিনি মানুষের মত হয়ে নিজেকে অবনত করলেন; মৃত্যু পর্যন্ত, এমনকি, ক্রুশীয় মৃত্যু পর্যন্ত আজ্ঞাবহ হলেন। 9 এই কারণ ঈশ্বর তাঁকে অত্যন্ত উচ্চমর্যাদা সম্পন্ন করলেন এবং তাঁকে সেই নাম দান করলেন, যা প্রত্যেক নামের থেকে শ্রেষ্ঠ; 10 যেন যীশুর নামে স্বর্গ এবং মর্ত্ত্য ও পাতালনিবাসীদের “প্রত্যেক হাঁটু নত হয়, 11 এবং প্রত্যেক জিভ যেন স্বীকার করে” যে, যীশু খ্রীষ্টই প্রভু, এই ভাবে পিতা ঈশ্বর যেন মহিমান্বিত হন।
তারার মত উজ্জ্বল হও।
12 অতএব, হে আমার প্রিয়তমেরা, তোমরা সবদিন যেমন আজ্ঞা পালন করে আসছ, তেমনি আমার সামনে যেমন কেবল সেই রকম না, কিন্তু এখন আরও বেশিভাবে আমার অনুপস্থিতিতে, সভয়ে ও সম্মানের সঙ্গে নিজের নিজের পরিত্রান সম্পন্ন কর। 13 কারণ ঈশ্বরই নিজের সন্তুষ্টির জন্য তোমাদের হৃদয়ে ইচ্ছা ও কাজ উভয়ের সাধনকারী। 14 তোমরা অভিযোগ ও তর্ক ছাড়া সব কাজ কর, 15 যেন তোমরা অনিন্দনীয় ও এই দিনের র সেই অসরল ও চরিত্রহীন প্রজন্মের মধ্যে ঈশ্বরের নিষ্কলঙ্ক সন্তান হও, যাদের মধ্যে তোমরা জগতে উজ্জ্বল নক্ষত্রের প্রকাশ পাচ্ছো, 16 জীবনের বাক্য ধরে রয়েছো; এতে খ্রীষ্টের পুনরাগমনের দিনের আমি এই গর্ব করার কারণ পাব যে, আমি বৃথা দৌড়াইনি, বৃথা পরিশ্রমও করিনি। 17 কিন্তু তোমাদের বিশ্বাসের আত্মাহুতিতে ও সেবায় যদি আমি উত্সর্গের জন্য সেচিতও হই তবে আমি আরাধনা করছি, আর তোমাদের সবার সঙ্গে আনন্দ করছি। 18 সেইভাবে তোমরাও আনন্দ কর, আর আমার সঙ্গে আনন্দ কর।
তীমথিয় ও ইপাফ্রদীতের বিষয়।
19 আমি প্রভু যীশুতে প্রত্যাশা করছি যে, তীমথিয়কে খুব তাড়াতাড়ি তোমাদের কাছে পাঠাব, যেন তোমাদের অবস্থা জেনে আমিও উত্সাহিত হই। 20 কারণ আমার কাছে তীমথির মত কোনো প্রাণ নেই যে, সত্যিই তোমাদের বিষয়ে চিন্তা করবে। 21 কারণ ওরা সবাই যীশু খ্রীষ্টের বিষয় নয়, কিন্তু নিজের নিজের বিষয়ে চেষ্টা করে। 22 কিন্তু তোমরা এঁর পক্ষে এই প্রমাণ জানো যে, বাবার সাথে সন্তান যেমন, আমার সাথে ইনি তেমনি সুসমাচার বিস্তারের জন্য দায়িত্ব পালন করেছেন। 23 অতএব আশাকরি, আমার কি ঘটে, তা জানতে পারলেই তাঁকে তোমাদের কাছে পাঠিয়ে দেব। 24 আর প্রভুতে আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই যে, আমি নিজেও তাড়াতাড়ি আসব। 25 কিন্তু আমার ভাই, সহকর্মী ও সহসেনা এবং তোমাদের প্রেরিত ও আমার প্রয়োজনীয় উপকারী সেবক ইপাফ্রাদীত তোমাদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া প্রয়োজন বলে আমার আবশ্যক মনে হল। 26 কারণ তিনি তোমাদের সবাইকে দেখবার জন্য আকাঙ্ক্ষী ছিলেন এবং তোমরা তাঁর অসুস্থতার সংবাদ শুনেছ বলে তিনি ব্যাকুল হয়েছিলেন। 27 আর সত্যিই তিনি অসুস্থতায় মারা যাওয়ার মত হয়েছিলেন; কিন্তু ঈশ্বর তাঁর ওপর দয়া করেছেন, আর কেবল তাঁর ওপর না, আমার ওপরও দয়া করেছেন, যেন দুঃখের উপর দুঃখ আমার না হয়। 28 এই জন্য আমি আগ্রহের সঙ্গে তাঁকে পাঠালাম, যেন তোমরা তাঁকে দেখে পুনর্বার আনন্দ কর, আমারও দুঃখের লাঘব হয়। 29 অতএব তোমরা তাঁকে প্রভুতে সম্পূর্ণ আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করো এবং এই ধরনের লোকদের সম্মান করো; 30 কারণ খ্রীষ্টের কাজের জন্য তিনি মৃত্যুমুখে উপস্থিত হয়েছিলেন, ফলে আমার সেবায় তোমাদের ত্রুটি পূরনের জন্য তিনি জীবনের ঝুঁকিও নিয়েছিলেন।