31
লমূয়েল রাজার কথা।
লমূয়েল রাজার কথা।
তাঁর মা তাঁকে এই ভাববানী শিক্ষা দিয়েছিলেন।
হে আমার পুত্র,
কি বলব? হে আমার গর্ভের সন্তান,
কি বলব? হে আমার মানতের ছেলে, কি বলব?
তুমি নারীদেরকে নিজের শক্তি দিও না,
যা রাজাদের ক্ষতিকারক, তাতে যুক্ত থেকো না।
রাজাদের জন্য, হে লমূয়েল,
রাজাদের জন্য মদ্যপান উপযুক্ত নয়,
সুরা কোথায়। শাসনকর্ত্তাদের জিজ্ঞাসা করা উচিত নয়।
পাছে পান করে তাঁরা ব্যবস্থা ভুলে যায়
এবং কোনো দুঃখীর বিচার উল্টো করেন।
মরার মত মানুষকে সুরা দাও,
তিক্তপ্রাণ লোককে আঙ্গুর রস দাও;
সে পান করে দৈন্যদশা ভুলে যাক,
নিজের দুর্দশা আর মনে না করুক।
তুমি বোবাদের জন্য তোমার মুখ খোল,
অনাথদের জন্য মুখ খোল।
তোমার মুখ খোল, ন্যায় বিচার কর,
দুঃখী ও দরিদ্রের বিচার কর। গুণবতী স্ত্রীর বর্ণনা
উপসংহার: গুণবতী চরিত্রের স্ত্রী।
10 গুণবতী স্ত্রী কে পেতে পারে?
মুক্তা থেকেও তাঁর মূল্য অনেক বেশী।
11 তাঁর স্বামীর হৃদয় তাঁতে নির্ভর করে,
স্বামীর লাভের অভাব হয় না।
12 তিনি জীবনের সব দিন তাঁর উপকার করেন,
অপকার করেন না।
13 তিনি মেষলোম ও মসীনা খোঁজ করেন,
আনন্দিত ভাবে নিজের হাতে কাজ করেন।
14 তিনি বাণিজ্য-জাহাজের মত,
তিনি দূর থেকে নিজের খাদ্রসামগ্রী আনেন।
15 তিনি রাত থাকতে উঠেন,
আর নিজের পরিজনদেরকে খাবার দেন,
নিজের দাসীদেরকে কাজ নির্ধারণ করে দেন।
16 তিনি ক্ষেত্রের বিষয়ে ঠিক করে তা কেনেন,
নিজের হাতের ফল দিয়ে দ্রাক্ষার বাগান তৈরী করেন।
17 তিনি শক্তিতে কোমরবন্ধন করেন,
নিজের হাতদুটো শক্তিশালী করেন।
18 তিনি দেখতে পান, তাঁর ব্যবসায় ভালো,
রাতে তাঁর আলো নেভে না।
19 তিনি টেকুয়া নিতে নিজের হাত বাড়ান,
তাঁর হাত দুটো পেঁজা তুলো ধরে।
20 তিনি দরিদ্রের প্রতি মুক্তহস্ত হন,
দীনহীনের দিকে হাত বাড়িয়ে দেন।
21 তিনি নিজের পরিবারের বিষয়ে বরফ থেকে ভয় পান না;
কারণ তাঁর সব বাড়ীর লোকেরা লাল পোশাক পরে।
22 তিনি নিজের জন্য পর্দার চাদর তৈরী করেন,
তাঁর পোশাক সাদা মসীনা-বস্ত্র ও বেগুনি বস্ত্র।
23 তাঁর স্বামী নগর-দরজায় প্রসিদ্ধ হন,
যখন দেশের প্রাচীনদের সঙ্গে বসেন।
24 তিনি সূক্ষ্ম বস্ত্র তৈরী করে বিক্রি করেন,
ব্যবসায়ীদের হাতে কটিবস্ত্র তুলেদেন।
25 শক্তি ও সমাদর তাঁর পোশাক;
তিনি ভবিষ্যৎকালের বিষয়ে হাঁসেন।
26 তিনি প্রজ্ঞার সঙ্গে মুখ খোলেন,
তাঁর জিভে দয়ার ব্যবস্থা থাকে
27 তিনি নিজের পরিবারের আচরণের প্রতি লক্ষ্য রাখেন,
তিনি অলসের খাবার খান না।
28 তাঁর ছেলেরা উঠে তাঁকে ধন্য বলে;
তাঁর স্বামীও বলেন,
আর তাঁর এরকম প্রশংসা করেন,
29 “অনেক মেয়ে গুনের প্রদর্শন করেছেন,
কিন্তু তাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা তুমি শ্রেষ্ঠা।”
30 লাবণ্য মিথ্যা, সৌন্দর্য্য অসার,
কিন্তু যে স্ত্রী সদাপ্রভুকে ভয় করেন,
তিনিই প্রশংসনীয়া।
31 তোমরা তাঁর হাতের ফল তাঁকে দাও,
নগর-দরজার সামনে তাঁর কাজ তাঁর প্রশংসা করুক।