3
তত্ত্বাবধায়ক ও ডিকন
1 এক বিশ্বাসযোগ্য উক্তি আছে: যদি কেউ অধ্যক্ষ* 3:1 অধ্যক্ষ তত্ত্বাবধায়ক বা বিশপ বা প্রাচীন। হওয়ার জন্য মনস্থির করেন, তাহলে তিনি মহৎ কাজ করারই আকাঙ্ক্ষী হন। 2 অধ্যক্ষকে অবশ্যই নিন্দার ঊর্ধ্বে থাকতে হবে; তিনি একজন স্ত্রীর স্বামী হবেন।† 3:2 বিকল্প অনুবাদ: যিনি তাঁর স্ত্রীর প্রতি বিশ্বস্ত বা যাঁর একাধিক স্ত্রী নেই। তিনি হবেন মিতাচারী, আত্মসংযমী, শ্রদ্ধার পাত্র, অতিথিপরায়ণ এবং শিক্ষাদানে দক্ষ। 3 তিনি মদ্যপ বা উগ্র স্বভাবের হবেন না কিন্তু অমায়িক হবেন; তিনি ঝগড়াটে বা অর্থলোভী হবেন না। 4 নিজের পরিবারের উপরে তাঁর নিয়ন্ত্রণ থাকবে এবং তিনি দেখবেন, তাঁর সন্তানেরা যেন যথোচিত শ্রদ্ধায় তাঁর বাধ্য হয়। 5 (কারণ কেউ যদি নিজের পরিবারকে নিয়ন্ত্রণ করতে না জানেন, তাহলে কীভাবে তিনি ঈশ্বরের মণ্ডলীর তত্ত্বাবধান করবেন?) 6 তিনি যেন নতুন বিশ্বাসী না হন, অন্যথায়, তিনি দাম্ভিক হয়ে দিয়াবলের মতো একই বিচারের দায়ে পড়তে পারেন। 7 বাইরের সব মানুষের কাছেও তাঁর সুনাম থাকা চাই, যেন তিনি অসম্মানের ভাগী না হন এবং দিয়াবলের ফাঁদে না পড়েন।
8 তেমনই, ডিকনেরাও‡ 3:8 ডিকন পরিচারক। হবেন শ্রদ্ধার যোগ্য ও আন্তরিকতাপূর্ণ। তাঁরা যেন অত্যধিক মদ্যপানে আসক্ত ও অসৎ ভাবে ধনলাভের জন্য সচেষ্ট না হন। 9 নির্মল বিবেকে তাঁরা যেন বিশ্বাসের গভীর সত্যকে ধারণ করে থাকেন। 10 প্রথমে তাঁদের যাচাই করে দেখতে হবে, যদি তাঁরা অনিন্দনীয় হন, তবেই ডিকনরূপে তাদের পরিচর্যা করতে দেওয়া হবে।
11 একইভাবে, তাদের স্ত্রীদেরও§ 3:11 অথবা, মহিলা ডিকনদের বা পরিচারিকাদের। শ্রদ্ধার পাত্রী হতে হবে। পরনিন্দা না করে তাঁরা যেন মিতাচারী এবং সর্ববিষয়ে বিশ্বস্ত হন।
12 ডিকনেরা কেবলমাত্র একজন স্ত্রীর স্বামী হবেন। তাঁর সন্তান এবং পরিজনদের তিনি যেন উপযুক্তভাবে বশ্যতাধীনে রাখেন। 13 কারণ যাঁরা উপযুক্তভাবে পরিচর্যা করেছেন, তাঁরা সুপ্রতিষ্ঠা এবং খ্রীষ্ট যীশুতে তাদের বিশ্বাসে মহা-নিশ্চয়তা লাভ করবেন।
খ্রীষ্টীয় মণ্ডলী জীবন্ত ঈশ্বরের গৃহ
14 যদিও শীঘ্রই আমি তোমাদের কাছে যাওয়ার প্রত্যাশা করছি, এই সমস্ত নির্দেশ আমি তোমাদের লিখে জানাচ্ছি, যেন 15 আমার দেরি হলেও, তোমরা জানতে পারবে যে, ঈশ্বরের গৃহের মধ্যে লোকদের আচরণ কেমন হওয়া উচিত। এই গৃহ হল জীবন্ত ঈশ্বরের মণ্ডলী এবং সত্যের স্তম্ভ ও বুনিয়াদ। 16 ধার্মিকতার গুপ্তরহস্য মহৎ! তা প্রশ্নাতীত:
তিনি* 3:16 কোনো কোনো পাণ্ডুলিপিতে, ঈশ্বর। দেহ ধারণ করে প্রকাশিত হলেন,
আত্মার দ্বারা নির্দোষ প্রতিপন্ন হলেন,
তিনি দূতদের কাছে দেখা দিলেন,
সর্বজাতির মাঝে প্রচারিত হলেন,
তিনি বিশ্বাসে জগতের মাঝে গৃহীত হলেন,
মহিমান্বিত হয়ে ঊর্ধ্বে উন্নীত হলেন।